ইলেকট্রিশিয়ান (Electrician) ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ভাইভা পরীক্ষার বেসিক প্রশ্ন উত্তর

১. ইলেকট্রিসিটি কী?

ইলেকট্রিসিটি হল চার্জের প্রবাহ। সাধারণত ইলেকট্রন প্রবাহকে ইলেকট্রিসিটি বলে।

২. ভোল্টেজ (Voltage) কী?

দুইটি বিন্দুর মধ্যে সম্ভাব্য পার্থক্যকে ভোল্টেজ বা বৈদ্যুতিক বিভব পার্থক্য বলে। একক: ভোল্ট (V)।

৩. কারেন্ট (Current) কী?

চার্জিত কণার প্রবাহকে কারেন্ট বলে। একক: অ্যাম্পিয়ার (A)।

৪. রেজিস্ট্যান্স (Resistance) কী?

কোনো পরিবাহকের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহের প্রতিবন্ধকতাকে রেজিস্ট্যান্স বলে। একক: ওহম (Ω)।

৫. ওহমের সূত্র (Ohm’s Law) কী?

ওহমের সূত্র অনুযায়ী, V = IR, যেখানে V = ভোল্টেজ, I = কারেন্ট, এবং R = রেজিস্ট্যান্স।

৬. ওয়াট (Watt) কী?

বিদ্যুৎ শক্তির একক হলো ওয়াট। সূত্র: P = VI, যেখানে P = পাওয়ার, V = ভোল্টেজ, এবং I = কারেন্ট।

৭. এসি (AC) ও ডিসি (DC) কারেন্টের পার্থক্য কী?

• AC (Alternating Current): সময়ের সাথে দিক পরিবর্তন করে।
• DC (Direct Current): নির্দিষ্ট একদিকে প্রবাহিত হয়।

৮. কন্ডাক্টর (Conductor) ও ইনসুলেটর (Insulator) কী?

• কন্ডাক্টর: যা বিদ্যুৎ প্রবাহ সহজে পরিবহন করতে পারে (যেমন: তামা, অ্যালুমিনিয়াম)।
• ইনসুলেটর: যা বিদ্যুৎ প্রবাহ বাধা দেয় (যেমন: রাবার, প্লাস্টিক)।

৯. ট্রান্সফরমার (Transformer) কী?

ভোল্টেজ বাড়ানো বা কমানোর জন্য ব্যবহৃত স্ট্যাটিক ডিভাইস।

১০. কিভাবে ট্রান্সফরমার কাজ করে?

ফারাডে'র ইনডাকশন নীতির মাধ্যমে এক প্রাথমিক কুণ্ডলী থেকে দ্বিতীয় কুণ্ডলীতে ভোল্টেজ ট্রান্সফার হয়।

১১. সিরিজ ও প্যারালাল সার্কিটের পার্থক্য কী?

• সিরিজ সার্কিট: সব উপাদান একের পর এক সংযুক্ত।
• প্যারালাল সার্কিট: সব উপাদান সমান্তরালভাবে সংযুক্ত।

১২. ফিউজ (Fuse) কী এবং কেন ব্যবহার করা হয়?

ফিউজ হলো সুরক্ষামূলক ডিভাইস, যা ওভারলোড হলে সার্কিট বিচ্ছিন্ন করে।

১৩. MCB ও MCCB কী?

• MCB (Miniature Circuit Breaker): ছোট সার্কিটের জন্য ব্যবহৃত হয়।
• MCCB (Molded Case Circuit Breaker): উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সার্কিটের জন্য ব্যবহৃত হয়।

১৪. গ্রাউন্ডিং (Grounding) ও আর্থিং (Earthing) এর মধ্যে পার্থক্য কী?

• গ্রাউন্ডিং: ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইসের নির্দিষ্ট অংশকে গ্রাউন্ডের সাথে সংযুক্ত করা।
• আর্থিং: শর্ট সার্কিট ও ওভারলোডের সময় অতিরিক্ত কারেন্ট মাটিতে প্রবাহিত করা।

১৫. কি ধরনের আর্থিং ব্যবহার করা হয়?

প্লেট আর্থিং, পাইপ আর্থিং, রড আর্থিং, কেমিক্যাল আর্থিং ইত্যাদি।

১৬. থ্রি-ফেজ ও সিঙ্গেল-ফেজের পার্থক্য কী?

• সিঙ্গেল-ফেজ: একটি লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় (220V)।
• থ্রি-ফেজ: তিনটি লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় (415V)।

১৭. ক্যাপাসিটর (Capacitor) কী?

ক্যাপাসিটর চার্জ সংরক্ষণকারী ডিভাইস।

১৮. ক্যাপাসিটরের কাজ কী?

এটি ইলেকট্রিক চার্জ সংরক্ষণ এবং পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নত করতে সাহায্য করে।

১৯. ইনডাকটর (Inductor) কী?

এটি একটি কুণ্ডলী যার মাধ্যমে চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয় এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

২০. মোটর (Motor) কী?

বিদ্যুৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরকারী ডিভাইস।

২১. ডিসি মোটর ও এসি মোটরের পার্থক্য কী?

• DC মোটর: ডিসি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।
• AC মোটর: এসি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।

২২. স্টার্টার কী এবং মোটরে কেন ব্যবহার করা হয়?

মোটরের ইন-রাশ কারেন্ট নিয়ন্ত্রণের জন্য স্টার্টার ব্যবহার করা হয়।

২৩. ইন্ডাকশন মোটর কীভাবে কাজ করে?

রটার ও স্টেটরের মধ্যে চৌম্বকীয় আবেশের মাধ্যমে কাজ করে।

২৪. সিনক্রোনাস ও আসিনক্রোনাস মোটরের পার্থক্য কী?

• সিনক্রোনাস মোটর: নির্দিষ্ট গতিতে চলে।
• আসিনক্রোনাস মোটর: পরিবর্তনশীল গতিতে চলে।

২৫. ফারাডে'র ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইনডাকশন সূত্র কী?

যখন কোনো পরিবাহকের মধ্যে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র পরিবর্তন হয়, তখন ইলেকট্রিক ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়।

২৬. ব্যাটারি কীভাবে কাজ করে?

রাসায়নিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে।

২৭. লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ও লিড-অ্যাসিড ব্যাটারির পার্থক্য কী?

• লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি: হালকা, বেশি শক্তিশালী, বেশি সময় চলে।
• লিড-অ্যাসিড ব্যাটারি: কম খরচে তৈরি, ভারী, কম ব্যাকআপ দেয়।

২৮. রেকটিফায়ার কী?

এসি কারেন্টকে ডিসি কারেন্টে পরিবর্তনকারী ডিভাইস।

২৯. ডায়োড কী?

এটি একমুখী বিদ্যুৎ প্রবাহ নিশ্চিত করে।

৩০. ট্রানজিস্টর কী এবং এর কাজ কী?

ট্রানজিস্টর হলো সুইচিং ও পরিবর্ধনের কাজে ব্যবহৃত ডিভাইস।